কে এম মিঠু :
টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌর শহরের ডুবাইল-গাংগাপাড়াসহ পাশ্ববর্তী গ্রামের একদল সচেতন যুবসমাজ গতকাল বিকেলে মাদকবিরোধী এক বিক্ষেভ মিছিল শেষে উপজেলার র্শীষ মাদক ব্যবসায়ী পাকুয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের পরিতাক্ত এক ঘর থেকে একচল্লিশ কেজি গাঁজা আটক করে তুলে দিল থানা পুলিশকে।
তরুণ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. সোহেল রানার নেতৃত্বে মাদকবিরোধী এ বিক্ষেভ মিছিলে অংশ নেন ডুবাইল, গাংগাপাড়া ও পাশ্ববর্তী গ্রামের কয়েকশত স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, বাজার সমিতির নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. আমজাদ হেসেন, সমাজ সেবক মো. বেলায়েত হোসেন, ডা: মোহাম্মদ আলী, আব্দুস সালাম, মো. আবুল কাশেম, আক্তার হোসেন, পলু শেখ, রুহুল আমীন, মো. মনছুর মিয়া ও সাগর ঘটক প্রমূখ।
গাংগাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সমাজ সেবক মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, বেশকিছু ধরে এলাকার পাড়ায়-পাড়ায় প্রতিদিন মাদকের ব্যবহার এবং মাদক ব্যবসায়ীরা অবাধে মাদকের রমরমা ব্যবসা করে আসছে। যা সমাজের জন্য অত্যন্ত কুফল। আমাদের এলাকায় মাদক বন্ধে যুবসমাজের সাথে তাই আমিও এই মাদকবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছি।
এদিকে মাদকবিরোধী এ বিক্ষেভ মিছিলের অংশগ্রহনকারীরা মিছিল শেষ করে ডুবাইল আদর্শ গণ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশ চলাকালে ঘরে মাদক মজুত আছে সংবাদ গোপান সোর্সের মাধ্যমে জানতে পেরে পাকুয়া গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে তারা র্শীষ মাদক বিক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন (৫০) এর বাড়ির পাশেই এক পরিতাক্ত ঘর থেকে মাদক আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। জনরোশ বুঝতে পেরেই জাহাঙ্গীর পালিয়ে যায়।
গোপালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল জলিল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মাদক আটক হয়েছে সংবাদ জানতে পেরে সাথে সাথে আমি পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠাই। কিন্তু গ্রামবাসী ওসি ছাড়া এ মাদক পুলিশ দলের হাতে তুলে দিতে অস্বিকৃতী জানালে আমি গিয়ে চার বস্তা মাদকদ্রব্য গ্রামবাসীকে সঙ্গে করে থানায় নিয়ে আসি। তিনি আরো বলেন, মাদক বন্ধে গোপালপুর থানা কঠোর ভাবে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। অচিরেই মাদকের এই পাইকারী ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে মাদকবিরোধী এই আন্দোলনে অংশ নেয়া আপনাদের সবার সামনে এ মাদকদ্রব্যগুলো পুড়ানো হবে।
মাদকবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়া ডুবাইল-গাংগাপাড়া ও পাশ্ববর্তী গ্রামের সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে পৌর মেয়র রকিবুল হক ছানা বলেন, এলাকার যুবসমাজ সোচ্চার হয়ে তারা যে কাজটি করেছে তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। গোপালপুরে অবশ্যই আমরা মাদক মুক্ত করতে পারবো, যদি আপনারা সমাজের সবাই এভাবে সোচ্চার হোন। আমরা গোপালপুরে মাদককে না বলতে চাই।